Friday, September 12, 2008

সমতলে নীল সবুজ

দূড়ের ঐ বেলা ভূমি
যেখানে আকাশ মাটির কাছাকাছি
সবুজের সাথে আলিঙ্গন
পূণর্তায় পূণর্তায় ভরিয়ে যাচ্ছে আনন্দের বন্যা।
উপভোগ কর!
আহবান আমাকে
মিলিয়ে যাও এখানে
পাওয়ার পূণর্তা যেখানে।

দূড়ের নীল আকাশ
মায়াবী সবুজে ঘেরা প্রান্তরে 
স্পর্শে আছে;
জানি নীল আকাশ তার সমস্ত উদারতা
সবুজে মিলিয়ে দিয়েছে
সবুজের হাতছানিতে
আকাশ ভেঙেছে তার নিরবতা।

আবেগিত আহবান

নিথর নিস্তব্ধতায়
নিজর্নতার নয়ন মেলিয়া;
বৃষ্টির ঝনঝনানি
মেঘের গজর্ণ।

বৃষ্টির জল অবনী চুমিয়া
হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসায়,
সহসা প্রাণোচ্ছল আবেগময়তায়
সবর্ত্র সঞ্চারিত প্রাণ।

জঞ্জালিত এ বসুন্ধরায়
আহবাহিত এ বৃষ্টি, আহবান আমাদের
মুছিয়া যাও
পরিচ্ছন্ন কর।

বিন্দু বিন্দু কণার জমাচ্ছে স্রোত
এবার ধুঁয়ে মুছে পরিষ্কার;
জঞ্জাল আর রইবে না
পরিচ্ছন্নতায় বসুন্ধরা – 
সবুজের আহবান,
মিলিত স্রোতে নেমে আমাদের ধরায়
অকৃত্রিমতার ছৌঁয়া বইয়ে যাও
নিবিড় বাঁধনে আকড়ে ধর।

সূযার্স্তের সীমানায়

লাল আভা ছড়িয়ে পড়েছে,
নিস্তব্ধতা ক্রমশঃ ছড়িয়ো যাচ্ছে চারিদিকে
সবাই নিস্তব্ধ, উৎসুক দৃষ্টিতে একপাণে।
দৃষ্টির সীমাকে ছাড়িয়ে কৌতহলী আবেগের বশবর্তী
একটু পরেই ছুঁয়ে ফেলল জল,
গভীর ভালবাসার আলিঙ্গন।

নিরবতার মাত্রাটা বেড়ে গেল একটু
নিজের অস্তিত্ব টুকু বীলিন হতে
আর দেরী নেই।
সৌন্দয সুধা পানে ব্যাস্ত
উৎসুক, উৎসুক, জোড়া, জোড়া নয়ন
ভেতরে সঞ্চারিত আবেগ, 
আগামী কালের নতুন আভা ছড়ানোর জন্য
আত্নহারা।

অন্ধকারটা কেবল একটু একটু করে বাড়ছে
এই মাত্রই তার সমস্ত ভালবাসা নিয়ে
ডুব দিয়েছে জলের অন্তরালে
উৎসুক নয়ন এখনো দৃষ্টি ফেরায়নি,
এইতো এইমাত্র যে ছিল।
সকল আবেগ ছিন্ন করে সকলের অন্তরালে।

এসো বিদ্রোহী স্বমূলে উৎপাটন করি

যদিও আমি একা, তবুও
সত্যের সন্ধানে অগ্রসরমান
হব। আহবান জানাবো আমি- এসো
ভালবাসি আমরা;
আমাদের বাংলাদেশকে।

যদিও তারা সাড়া না দেয়ার
ভাবনায়, আমি তাদের বুঝাবো – এসো
ভালবাসি আমরা;
আমাদের বাংলাদেশকে।
দেশের প্রয়োজনে উৎসগ র্করি – নিজেকে
হারিয়ে যাই দেশের পথে প্রান্তরে; জাগিয়ে তুলি
অবহেলিতদের।

আহবান আমার মূলতঃ তাদের প্রতি; যারা – 
যুব সমাজ ধ্বংসের ব্যস্ততায়। আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন
করতে প্রস্তুত।
মাদক দ্রব্যের “গডফাদার”।
বুঝতে পারি তারা সাড়া দিবেনা আমার আহবানে, প্রথমতঃ।
তবুও আমি আহবান জানাবো – এসো
দেশের স্বার্থে পরিহার করো।
তবুও, তারা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যাস্ত।
আমি দিশেহারা হব না;
বোঝাবো। মৃত্যুর সময় কেবলই একা।
যাবে না সাথে কিছুই, শুধুই কাফন ও 
নিজের অসাড় দেহ।
যারা আমার আহবানে সাড়া দেবে
তাদের জন্য আমি দোয়া চাইব
পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে,
একটু দেরী হলেও বুঝেছে তারা,
তাদের ভুল।

প্রত্যাক্ষান করবে আমাকে – 
তবুও, আমি তাদের বোঝাবো।
ক্লান্ত হবো না।

আমি যুব সমাজের প্রতি জানাবো – 
আহবান, ধ্বংসের পথ পরিহার কর
জানো না তোমারা, বাড়িয়েছ কোথায় তোমাদের পা।
যেখানে, শুধুই অন্ধকার.....
প্রথমতঃ, তারাও ফিরে আসতে চাইবে না।
আমি ক্ষতিকর দিকগুলি তুলে ধরব, ফিরে আসতে বলব
আলোর দিকে।

পরিশেষে, আমি জানাবো আহবান – 
আমাদের বিদ্রোহী যুব সমাজের প্রতি। সড়া দিবে তারা

যাদেরকে আমি আমার আহবানে 
আহবাহিত করতে পারি নি,
ঐ সমস্ত মাদকদ্রব্যের গডফাদার।

এসো হে বিদ্রোহী আমরা ঘোষনা করি – 
বিদ্রোহ। আমরা ভুলে যাই, আমাদের জীবনের
মায়া। আমরা একযোগে প্রতিহত করব।
ধ্বংস করে দেব তাদের,
আমাদের এই পবিত্র বাংলাদেশ এর
পবিত্র রক্তে রঞ্জিত ভূমি থেকে।
আমরা তাদের খুন করব,
কিন্তু তাদের বিষাক্ত রক্তে 
অপবিত্র হতে দেব না
আমাদের এই পূণ্য ভূমি।

তবুও, আমি জানি উৎখাত হবে না, পুরোপুরি
ভবিষ্যৎ বিদ্রোহীকে বলব,
তোমরা চুপ করে বসে থেক না
শুরুতে স্বমূলে উৎপাটন করো।